Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ নভেম্বর ২০২২

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন

 

সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহ:

১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এন্ট্রারপ্রাইজেস (রাষ্ট্রীয়করণ) অর্ডার ২৭, ১৯৭২ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন (বিটিএমসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। বিটিএমসি একটি স্বায়ত্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেক্সটাইল সেক্টর, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও সম্পত্তির সবোর্ত্তম ব্যবহারসহ সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) কর্তৃক নীতিগত অনুমোদন প্রাপ্ত বিটিএমসি’র ১৬টি বন্ধ মিল পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) এর আওতায় চালু করার নিমিত্তে ১ম পর্যায়ে ২টি মিলের (আহমেদ বাওয়ানী টেক্সটাইল মিল ও কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিল) আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবানের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রাইভেট পার্টনারের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১টি মিলের জমি (কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিল) গ্রীণ ফিল্ড হিসেবে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং অপর ১টি মিল (আহমেদ বাওয়ানী টেক্সটাইল মিল) হস্তান্তরের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২য় পর্যায়ে ৪টি মিলের (আর আর, রাজশাহী, মাগুরা ও দোস্ত টেক্সটাইল মিল) আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়েছে এবং জুন ২০২২ এর মধ্যে দরপত্র মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। মতিঝিলের হাটখোলাস্থ ১.১১৭ একর জমি বাংলাদেশ পুলিশের নিকট বিক্রি করে ৮৮.৯০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে এবং হাটখোলাস্থ ৪.২৫৪৩ একর জমি সিটি জরিপে ৫০টি আপিল মামলার মাধ্যমে বিটিএমসির নামে রেকর্ড ও গেজেট সম্পন্ন হয়েছে। বিগত ৩ বছরে বিটিএমসি’র ৪৭টি মামলা এবং ১৮৯৪টি অডিট আপত্তি নিস্পত্তি করা হয়েছে। চিত্তরঞ্জন টেক্সটাইল পল্লীর ১০টি প্লট বিক্রি করা হয়েছে এবং ১টি প্লটে কারখানা স্থাপনপূর্বক উৎপাদন কার্যক্রম চালু হয়েছে।

সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ:

পিপিপি’র আওতায় পরিচালিত মিলসমূহের জমি বন্ধক দেয়ার বিধান না থাকায় প্রকল্প সমূহে প্রাইভেট পার্টনার তথা বেসরকারী বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যাংক কর্তৃক প্রকল্প ঋণের (Project Financing) ব্যবস্থা করা। সরকার ও ব্যাংকের নিকট বিটিএমসি’র দায়-দেনা নিষ্পত্তি করা, চলমান মামলাসমূহ ও অডিট আপত্তিসমূহের নিষ্পত্তি করা এবং মিলসমূহের দীর্ঘ মেয়াদী বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ) ও পৌর/ভূমি কর পরিশোধ/নিষ্পত্তি করা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

সিসিইএ কর্তৃক নীতিগত অনুমোদনপ্রাপ্ত বিটিএমসি’র অবশিষ্ট ১৪ টি মিল পিপিপি’র প্রক্রিয়া অনুসরণ করত পর্যায়ক্রমে চালু করা। বিটিএমসি’র অপর ৯টি মিলের মধ্যে ১টি মিলে টেক্সটাইল পল্লী, ১টি মিল পিপিপি এর আওতায় কোন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ৭টি মিল পিপিপি অথবা লীজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চালু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এছাড়াও পিপিপি’তে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য বেজা ও বেপজার ন্যায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি বিশেষত প্রকল্প ঋণ সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা।